কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার খোরশেদ আলম নামে এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামি তারেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। সোমবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চকরিয়া থানার হারবাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার মুহাম্মদ তারেক (২৪) কুতুবদিয়া উপজেলার মিজ্জিরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
র্যাব জানায়, কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং মিজ্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। একই এলাকার বাসিন্দা তারেক দীর্ঘদিন ধরে খোরশেদের দোকান থেকে বাকিতে পণ্যসামগ্রী নিতেন। গত ১৮ মার্চ খোরশেদ তারেকের কাছে বকেয়া ৪৫০ টাকা চান। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।
এর জেরে অন্য সহযোগীদের নিয়ে খোরশেদকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়। সেই মোতাবেক ২০ মার্চ রাত ৯টার দিকে কুতুবদিয়ার মিজ্জির পাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে ঝাউবাগানে খোরশেদকে ডেকে নিয়ে কোপানো হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে খোরশেদকে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ৩১ মার্চ মারা যান খোরশেদ।
এ ঘটনায় খোরশেদের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২২ মার্চ তারেককে প্রধান আসামি করে কুতুবদিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত তারেক এলাকা ছেড়ে চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকায় মামার বাড়িতে আশ্রয় নেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে মোবাইলফোন ব্যবহারও বন্ধ করে দেন। কিন্তু র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে সোমবার রাতে অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তারেক ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর তারেকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে কুতুবদিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত